তিলি মুনিয়া

(Scally-breasted Munia)। বৈজ্ঞানিক নাম Lonchura punctulata. এ দেশের শহর-বন্দর-গ্রামে প্রচুর দেখা যায়। লম্বায় ১১.৫ সেন্টিমিটার। মাথা থেকে লেজের ডগা জলপাই-বাদামি। চিবুক গাঢ় রঙের। বুকের ওপরটা খয়েরি। পেট কালচে-বাদামি, তাতে সাদা ফোঁটা থাকে। স্ত্রী-পুরুষ একই রকম। মুনিয়া বেশ চঞ্চল। ফসলের খেত, মাঠ, নলখাগড়ার বন, বাগান প্রভৃতি স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে চরে বেড়ায়। এদের ঠোঁট খাটো ও বেশ শক্ত। ধান বা অন্যান্য শস্যদানা মুখে রেখেই তা থেকে শক্ত খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারে।
ঘাসবীচি ও কীটপতঙ্গও খায়। মে-সেপ্টেম্বর প্রজননকাল। খেজুরগাছের পাতার আড়ালে, লতার ঝোপে, বাবলা, ঝাউ, কেয়া, কান্তা, দেবদারু প্রভৃতি গাছে গোলাকৃতির বাসা বোনে। ঘাস-লতা-ধানের পাতা দিয়ে সুন্দর, নরম ও তুলট বাসাটির ভিত্তি রচনা করে। কাশফুল দিয়ে চারপাশটা মুড়ে নেয়। বাসার ভেতরে থাকে কাশফুলের গদি। বাসায় ঢোকার জন্য গোপন সরু পথ বানায়, যেন শত্রুরা না দেখে। বশেমুরকৃবিতে বিল্ডিংয়ের কার্নিশের নিচে ও টোনারের খালি কার্টনে বাসা বানাতে দেখেছি। স্ত্রী মুনিয়া চার থেকে আটটি ধবধবে সাদা ডিম পাড়ে। স্বামী-স্ত্রী মিলে ১৩ থেকে ১৫ দিন তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়

No comments:

Post a Comment

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি কেমন হয়েছে তা আমাকে কমেন্ট করে জানান। যদি এই আর্টিকেলে আরো কিছু সংযোজন কিংবা বিয়োজন করার দরকার পরে তবে দয়াকরে কমেন্ট করে জানান। যদি পুরো আর্টিকেলকেই সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তবে আমাকে এই আর্টিকেলের স্ক্রিনশট সহ আপনার বক্তব্য মেইল করে পাঠান zoologyraj@gmail.com এই ঠিকানায়। আপনার বস্তুনিষ্ঠ মতামত অনেক পাঠককে অনেক বেশি কিছু জানতে সাহায্য করবে।