রাজকাঁকড়া(King Crab- Carcinoscorpius)

রাজকাঁকরা আর্থোপডা পর্বের Merostomata শ্রেণীর অধিন প্রাণী। বাংলাদেশের বঙ্গপসাগরে এই রাজ কাঁকড়া পাওয়া যায় এবং জীবীত জীবাশ্ম হিসেবে ধারনা করা হয়। এর দেগ অগ্র প্রোসমা ও পশ্চাদ অপিসথোসোমা নিয়ে গঠিত। প্রোসোমা উপরের দিকে উত্তল এবং নিচের দেক ক্রমশ ঢালু। দেহ তিনটি অনুদৈর্ঘ্য রিজ বহন করে, যার একটি মধ্যমা এবং বাকি দুটি পার্শীয়। একজোড়া সরল মধ্যমা চক্ষু এবং একজোড়া পাশ্বীয় যৌগিক চক্ষু উপস্থিত। চক্ষু গুলো প্রোসোমার পৃষ্ঠের দিকে উপস্থিত। প্রসোমা ছয় জোড়া উপাঙ্গ বহন করে, যে গুলি মুখকে ঘিরে থাকে। প্রথম জোড়ার শাড়াসি চেলিসেরা, চার জোড়া সাড়াসি পা্ এবং শেষ জোড়া সাঁড়াসিহীন পা।

কুনো ব্যাঙ

কুনোব্যাঙ (বৈজ্ঞানিক নাম: Bufo melanostictus, সম্প্রতি নামকরণ হয়েছে Duttaphrynus melanostictus) (ইংরেজি: Asian Common Toad) Bufonidae (বুফোনিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Bufo (বুফো) গণের এক প্রজাতির অতি পরিচিত একটি ব্যাঙ। ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ দেশে প্রজাতিটি দেখা যায়। বাড়ির আনাচেকানাচে সর্বত্রই এদের দেখা যায়। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।

তিলি মুনিয়া

(Scally-breasted Munia)। বৈজ্ঞানিক নাম Lonchura punctulata. এ দেশের শহর-বন্দর-গ্রামে প্রচুর দেখা যায়। লম্বায় ১১.৫ সেন্টিমিটার। মাথা থেকে লেজের ডগা জলপাই-বাদামি। চিবুক গাঢ় রঙের। বুকের ওপরটা খয়েরি। পেট কালচে-বাদামি, তাতে সাদা ফোঁটা থাকে। স্ত্রী-পুরুষ একই রকম। মুনিয়া বেশ চঞ্চল। ফসলের খেত, মাঠ, নলখাগড়ার বন, বাগান প্রভৃতি স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে চরে বেড়ায়। এদের ঠোঁট খাটো ও বেশ শক্ত। ধান বা অন্যান্য শস্যদানা মুখে রেখেই তা থেকে শক্ত খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারে।

নীলকন্ঠ বসন্তবৌরী

ফলখেকো সুন্দর এই পাখিটি সব জায়গায়ই কম-বেশি দেখা যায়। একটু অভিজ্ঞ যারা, তারা না দেখেও ডাক শুনে চিনে ফেলতে পারে এদের। বাসা বাঁধার মওসুমে গাছের ডালে এক জায়গায় বসে তালে তালে ডাকে। কণ্ঠস্বর বেশ জোরাল। ডাকটা ‘কোটর টো কোটরো’ ধরনের। গলায় আশ্চর্য কারুকাজ খেলে। বেশি ডাকে বাসা-ডিম হওয়ার মওসুমে। এদের মাথা নীল আর সারা দেহ সবুজ। বসন্তকালে এই ণীলকন্ঠিদের বেশী দেখা যায় তাই এদের নাম নীলকণ্ঠ বসন্ত বৈরী।

কোকিল

কোকিল বাংলার একটি সুপরিচিত পাখি। এরা চমৎকার গান গেয়ে বসন্তকালকে মুখরিত করে তোলে। পরনির্ভরশীল পাখির কথা বললে প্রথমেই কোকিলের কথা আসে। কোকিল কখনও বাসা বাঁধে না। এরা অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে বিশেষ করে পাতিকাক, বুলবুলি, বাঘাটিকি, বনছাতারে এমনকি বসন্তবৌরির বাসায়ও ডিম পাড়ে। তবে পরজীবী পাখি হলেও বসন্তকালে এদের বিশেষ ডাকের কারণে সবার কাছেই পরিচিত এই পাখি। কোকিলের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর পরই অন্য ডিম বা বাচ্চা ফেলে দেয় বাসার মালিক পাখিরা। কালা কোকিল সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়ে কাকের বাসায়। কোকিল ও কাকের ডিম পাড়ার সময় এপ্রিল-আগষ্ট মাসে।